নগরীর মাসদাইর এলাকার একটি বাড়ি থেকে আনোয়ার হোসেন অনু নামে এক যুবদল নেতার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) মাসদাইর এলাকার ভাড়া বাসার নির্মাণাধীন লিফটের খাঁজের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করে লাশ নির্মাণাধীন লিফটের ভেতরে ফেলে রাখা হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

নিহত আনোয়ার হোসেন অনু দেওভোগ এল এন রোড এলাকার মৃত হাজী সায়েদ আলীর ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই। ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) নুরে আজম মিয়া।

নিহতের ভাগিনা রাকিব জানায়, বিকালে ফোনে আনোয়ার মামার সাথে কথা হয়। তার ঘন্টা খানেক পর তার মেয়ে আমাকে কল দিয়ে বলেছে বাবা রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে। যাওয়ার সময় মোবাইল রেখে গেছে ও খালি পায়ে ছিল। পরে অনেক খুঁজাখোজির পর লিফটের ফাঁকা দিয়ে টর্চ লাইট দিয়ে দেখেছে সে পরে আছে। তাকে উদ্ধার করার সময় হাতে পিঠে খামচির দাগ ও আঘাতের চিহ্ন ছিলো। ধারণা করা যাচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীর পান্নার সাথে দূর সম্পর্কের এক ভাতিজার অবৈধ সম্পর্ক ছিলো বলে আমরা জানি।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন মোল্লা জানায়, আমরা মাসদাইর থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাইনি। আমরা ইতোমধ্যে লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।