ফতুল্লার বিসিক নতুন রোডের ভুট বাড়ি এলাকায় দীর্ঘদিন ফেন্সিডিলের ব্যবসা করে আসছিল ছন্দু মিয়ার পুত্র আলম ওরফে ঢালাই আলম । দুর্ষর্ধ মাদক ব্যবসায়ী আলমকে ফতুল্লা থানা কিংবা নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতারে ব্যর্থ হলেও বিপুল পরিমান ফেন্সিডিলসহ আলমসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মূলত একজন শিল্পপতির ছত্রছায়ায় ঝুট ব্যবসার আড়ালে ফেন্সিডিল ব্যবসা করতো আলম। এরই মধ্যে আলমসহ চারজনকে ১ হাজার ৫০১ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেছে গাজীপুর ডিবি। জানাগেছে, বিশাল একটি মাদকের চালান নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আসার সময় ১ হাজার ৫০১ বোতল ফেনসিডিলসহ নারায়ণগঞ্জের ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশ। ১ হাজার ৫০১ বোতল ফেনসিডিলসহ নারায়ণগঞ্জের ২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তারা নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা করতেন। গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে শহরের গাজীপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ক্যাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃরা হলেন- লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার আদিতমারী (বিন্নাগারী) গ্রামের মো. হোসেনের ছেলে সেলিম (৩২) ও নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তার মিয়ার ছেলে মো. কাওসার মিয়া (৪০)। তারা ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকার পৃথক দুটি বাসায় ভাড়া থাকেন। গ্রেফতার কৃতরা জানান, ফেন্সিডিলের মুল মালিক ঢালাই আলম। পরে গ্রেফতার কৃত আসামীদের আসামীদের দেয়া ফতুল্লার বিসিন নতুন রোডের ছন্দু মিয়ার পুত্র আলম ও নাছির উদ্দিনের পুত্র রিপনকে গ্রেফতার করে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ নিতাই চন্দ্র সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার গোয়ালবাথান এলাকায় বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালায় একটি ক্যাভার্ডভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ১ হাজার ৫০১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার এবং দুই জনকে আটক করা হয়। ঐঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আলম ও রিপনকে আসামী করা হয়েছিল। তাদেরকে মাসদাইর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করতো আলম। একজন শিল্পপতির শেল্টারে ঝুট ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা করতো। ঐ শিল্পপতিই আলমের মাদক ক্রয়ের অর্থযোগানদাতা ছিলেন। ঢালাই আমলের মাদক ব্যবসা জেনে ফেলায় ত তিন মাস আগে ইব্রাহিম নাকে এক সোর্সকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এতে সোর্স প্রাণে বেঁচে গেলেও মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছিল। এরপরও রহস্যজনক কারণে আলমকে গ্রেফতার করেনি ফতুল্লা থানা পুলিশ। তবে আলমের মাদকের বিশাল চালান আটক হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, এতোদিন মাদক ব্যবসা করলেও কেনা নিশ্চুপ ছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ।
আপনার মতামত কমেন্টস করুন