সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আমারগো  আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। -ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটু যুবদল নেতা টিপুর দিকনির্দেশনা জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া আ’লীগ দোসরদের সংঘবদ্ধ হামলায় আহত ৪, আতঙ্কে এলাকাবাসী ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মিঠুর নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না : মামুন মাহমুদ ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন ফতুল্লায় চেম্বার নেতৃবৃন্দের লিফলেট বিতরণ ফতুল্লা সস্তাপুরে কাস্টমস কর্মকর্তা মারফের বিরুদ্ধে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঝাড়ু মিছিল নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকদের নামে মামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ফতুল্লায় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুনের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া

ব্যাংকে বন্ধক রাখা জমি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছে রফিক

নিউজটি শেয়ার করুন:

ব্যাংকের কাছে বন্ধক রাখা জমি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। ঋণ দেওয়া ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওই জমির বিপরীতে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকাও তিনি গত ছয় বছরে পরিশোধ করেননি।

ব্যাংকের তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১৮ এপ্রিল পৃথক ছয়টি তফসিলভুক্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ১২৬.৭৭ শতক জমি বন্ধক রেখে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) বসুন্ধরা শাখা থেকে ৬০ কোটি টাকা ঋণ নেন রফিক।

বন্ধকী দলিল নম্বর ৩৯৮৪। বর্তমানে ওই ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বন্ধকী সেই জমির ১৬.৫ শতাংশ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) কাছে বিক্রি করেন রফিক।

ঢাকার ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা মৌজায় ওই জমির অবস্থান।

ইতিমধ্যে জমির নামজারি সম্পন্ন হয়েছে এনটিএমসির নামে। ওই জমির সিএস ও এসএ খতিয়ান নম্বর ৩২৫৯, আরএস নম্বর ৯৫৯৫। ঢাকা সিটি জরিপ দাগ নম্বর ৩৮০০৭।

এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখার ব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান বলেন, ‘ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে রংধনু গ্রুপের অনিয়মের তথ্য জানার পর আমরাও অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করি।

তদন্তে এসআইবিএলের সঙ্গে রফিকের প্রতারণার বেশকিছু তথ্য-প্রমাণ উঠে এসেছে।’

আমিনুর রহমান বলেন, ‘রফিক আমাদের শাখায় জমি বন্ধক রেখে তথ্য গোপন করে পুনরায় রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। কেবল ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নয়, এমন আরও বেশকিছু প্রতারণার তথ্য অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।’

ব্যাংকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বন্ধককৃত জমির ‘বি’ তফসিলের সাড়ে ১৬ শতাংশ জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করা হয় ওই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে। এই ‘বি’ তফসিলেই ছিল বসুন্ধরা আবাসিকের আই-ব্লকের ৭৭ ও ৭৮ নম্বর প্লট।

বর্তমানে ওই জমির ওপর নির্মিত হয়েছে ১০ তলাবিশিষ্ট বিল্ডিং। ভবনটি বিজনেস পয়েন্ট নামে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। ওই ভবনেই রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যানের কার্যালয়।

জমির দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভূমি অফিসের বাড্ডা জোনের সাব-রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে দলিল রেজিস্ট্রি হয় ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর। দলিল নম্বর ১১৯৩৪। নামজারি মামলা নম্বর ৮২০১/২০১৮-২০১৯। ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ৭৭ ও ৭৮ প্লটের জমিটি রাষ্ট্রীয় ওই প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি খতিয়ানভুক্ত হয়। এর নম্বর ৪৫০৩৭ ও জোত নম্বর ৫১/২৩০।

খতিয়ানটিতে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিকুল ইসলাম, ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা শেখ শরীফুজ্জামান ও নাজির কাম ক্যাশিয়ার এস এম আরিফুর রহমানের স্বাক্ষর আছে। ২০১৯ সালের ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি কর্মকর্তারা ওই নামজারি পত্রে স্বাক্ষর করেন।

ব্যাংকে বন্ধক থাকা জমি বিক্রি এবং নামজারি করে নেওয়ার বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জালাল উদ্দিন বলেন, ব্যাংকে বন্ধক থাকা অবস্থায় জমি বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এরপরও এমনটি করে থাকলে অবশ্যই এটা জালিয়াতি।

বন্ধকী জমির তথ্য গোপন করে বিক্রির সুযোগ নেই উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, বর্তমানে বন্ধকী সম্পত্তির বিবরণও সিবিআই রিপোর্টে যুক্ত করা হচ্ছে। যাতে অন্যান্য ব্যাংকগুলোও জানতে পারে কোন জমি কার কাছে বন্ধক আছে। ব্যাংকে বন্ধক রাখা জমি অন্য কারো কাছে বিক্রি করা হলে সেটা অবশ্যই গুরুতর অপরাধ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জমি বিক্রি করতে হলে অবশ্যই মূল দলিল সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে প্রদর্শন করতে হয়। এখানে দুটি প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি হতে পারে। প্রথমত, ব্যাংক ও ঋণগ্রহীতা পরস্পর সম্মিলিতভাবে এটি করতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়তো ব্যাংক মূল দলিল না রেখেই ঋণ প্রদান করেছে। দ্বিতীয়ত, যদি ব্যাংক যথাযথ প্রক্রিয়ায় ঋণ দেয় সেক্ষেত্রে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। কারণ, এ সময় গ্রাহকের কাছে মূল দলিল থাকার সুযোগ নেই।

ব্যাংকে বন্ধক দেওয়া দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, বন্ধকী দলিলের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সম্মতি দেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছেলে কাউসার আহমেদ অপু ও শফিক বিল্লাহ ভূঁইয়া। দলিলে কাউসার আহমেদের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘এ’ ব্লকের ১২/ডি অ্যান্ড ‘ই’নম্বর বাড়ি। শফিক বিল্লাহ ভূঁইয়ারও একই ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আবু বলেন, ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন নিষ্পত্তি ছাড়া বন্ধকী জমি বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। যদি বিক্রি হয়, তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই জালিয়াতি করা হয়েছে। এজন্য ভুক্তভোগীরা জমি বিক্রেতা বা ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন:

আপনার মতামত কমেন্টস করুন


Dhaka, Bangladesh
সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫
২৫ সফর, ১৪৪৭
ওয়াক্তসময়
সুবহে সাদিকভোর ৪:১৬
সূর্যোদয়ভোর ৫:৩৫
যোহরদুপুর ১২:০২
আছরবিকাল ৩:২৯
মাগরিবসন্ধ্যা ৬:২৯
এশা রাত ৭:৪৮

নামাজের সময় সূচী

© নারায়ণগঞ্জের আলো ২৪
Design & Developed BY M Host BD