বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নারায়ণগঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার আবুল কালাম আজাদ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আমারগো  আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। -ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি টিটু যুবদল নেতা টিপুর দিকনির্দেশনা জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়া আ’লীগ দোসরদের সংঘবদ্ধ হামলায় আহত ৪, আতঙ্কে এলাকাবাসী ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মিঠুর নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না : মামুন মাহমুদ ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন ফতুল্লায় চেম্বার নেতৃবৃন্দের লিফলেট বিতরণ ফতুল্লা সস্তাপুরে কাস্টমস কর্মকর্তা মারফের বিরুদ্ধে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ঝাড়ু মিছিল নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকদের নামে মামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

বক্তাবলীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক-উত্তেজনা

নিউজটি শেয়ার করুন:

নারায়ণগঞ্জের আলো ২৪.কম :  ফতুল্লার বক্তাবলীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী হাজী ও রহিম হাজী গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি এবং দুই পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবারের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ উভয় গ্রুপের ১৪ থেকে ১৫জন আহত হয়। সামবার বিকেল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত বক্তাবলীর আকবরনগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার সাথে সামেদ আলী সম্পৃক্ত না থাকার পরও তাকে আসামী করা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তার স্বজনদের দাবি, ঘটনার দিন সামেদ আলী এলাকায় ছিলো না। কিন্তু প্রতিপক্ষ সামেদ আলী বাড়িতে আছে এমন সন্দেহে রহিম হাজীর সমর্থকরা হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। আর এ নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের খবরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায় পুলিশ আত্ম রক্ষার্থে সামেদ আলীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর পুলিশ রহিম হাজী ও সামেদ আলীর স্ত্রী নাছিমা বেগমসহ ৭জনকে গ্রেফতার করে। তবে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য স্থানীয়রা রহিম হাজীকে দায়ি করেছেন। সামেদ আলীর স্বজনদের দাবি, ঘটনার দিন সামেদ আলী এলাকায় ছিল না। তিনি বক্তাবলীতে আসবে এমন সংবাদে রহিম হাজী সমর্থকরা সামেদ আলীর বাড়িতে হামলা চালালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এক পর্যায় সামেদ আলীর লোকজন রহিম হাজীর সমর্থকদের প্রতিহতের চেষ্টা করে দুই পক্ষ সংঘর্ষের জড়িয়ে পরেন। পুলিশ গিয়েও রহিম হাজী সমর্থকদের হামলা এক পর্যায় সামেদ আলীর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং পরে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সোমবারের ঘটনার জন্য রহিম হাজী দায়ি করে স্থানীয়রা জানান, সামেদ আলী দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বাইরে থাকেন। মাঝে মধ্যে আসলে আবার চলে যায়। কিন্তু সোমবার সামেদ আলী এলাকায় আসবেন এমন খবরে রহিম হাজীর ভাড়াটে সন্ত্রাসী কেরানীগঞ্জের আবুল হাশেম ও ফতুল্লা কোতালের বাগ এলাকার সন্ত্রাসী এরশাদসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সামেদ আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী দুই প্রধান হাশেম ও এরশাদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সরেজমিনে আকবরনগরে ঘুরে জানা যায়, এলাকাতে শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে হাজী সামেদ আলীর। তাকে বিব্রত করতেই রহিম হাজী গ্রপের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে আর এর দায় চাপাতে উঠেপড়ে লেগেছে সামেদ আলীর স্বজনদের বিরুদ্ধে। গতকালের ঘটনায় পুরোপুরি ভাবে জড়িত রহিম হাজীর ভাই-ভাতিজাসহ সাঙ্গপাঙ্গরা। অথচ উদোড় পিন্ডি ভুদোড় ঘাড়ে চাপাতে রহিম হাজীর স্ত্রী মাসুদা বেগম সামেদ আলী ও স্ত্রীসহ অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন ফতুল্লা মডেল থানায় যা সর্বক্ষেত্রে অগ্রহনযোগ্য। স্থানীয়রা জানান,যেখানে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উধঃতন কর্মকর্তারা বলছেন ঘটনাস্থলে সামেদ আলী ও তার পরিবারের কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না সেখানে তাকে ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাই প্রমান করে রহিম হাজী গ্রপ কতটা ভয়ানক আকবরনগর বাসীর কাছে। তারা বিষয়টি সুষ্ঠভাবে তদন্ত করার জন্য ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে আবেদন জানান।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লা থানা ও সিরাজদী খাঁন থানার পাশ্ববর্তী এলাকা বক্তাবলীর আকবরনগর এলাকা। এ এলাকার প্রভাবশালী দুই ব্যক্তি সামেদ আলী হাজী ও রহিম হাজী। আধিপত্য বিস্তার করতে তারা উভয়ে আলাদা ভাবে বিশাল বাহিনী গড়ে তোলে। উভয় বাহিনীর লোকজন ইটভাটা হতে চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। দীর্ঘদিন নিরব থাকার পর সোমবার বিকেলে সামেদ আলী হাজী ও রহিম হাজী গ্রপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একে অপরকে ঘায়েল করতে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ টেটা ব্যবহার করা হয়। আর ঘটনার সংবাদ পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেনসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। আর দুই গ্রপের সংঘর্ষের ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ উভয়  ১৪ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পুলিশ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, হাবিবুর রহমান ও রেজাউল হক আহত হয়। তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ৩টি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলেছেন, বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন:

আপনার মতামত কমেন্টস করুন


Dhaka, Bangladesh
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫
২৭ সফর, ১৪৪৭
ওয়াক্তসময়
সুবহে সাদিকভোর ৪:১৭
সূর্যোদয়ভোর ৫:৩৬
যোহরদুপুর ১২:০২
আছরবিকাল ৩:২৯
মাগরিবসন্ধ্যা ৬:২৭
এশা রাত ৭:৪৫

নামাজের সময় সূচী

© নারায়ণগঞ্জের আলো ২৪
Design & Developed BY M Host BD