নারায়ণগঞ্জের আলো ২৪.কম :

নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার লামাপাড়া – নয়ামাটি এলাকার চিহিৃত মাদক সম্রাট এমরান হোসেন ওরফে ফেন্সি ইমরানের গ্রেফতার সংবাদে লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

একাধিক মাদক মামলা চলমান থাকা সত্বেও প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছিল

এমরান তার সহযোগী শহীদ, সেলিম,ফয়সাল, শরীফকে নিয়ে।

মাদক সম্রাট এমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে ও যুব সমাজ কে রক্ষার্থে পুলিশ সুপার ও রেবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিল সচেতন এলাকাবাসী।

জানা যায়,শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই হেমায়েত উদ্দিন পিপিএম গোপন সংবাদের ভিক্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এনায়েতনগরে মনু মিয়ার বাড়ি হতে অভিযান চালিয়ে এমরান ওরফে ফেন্সি ইমরানকে আটক করে।গত ৭ নভেম্বর গোদনাইল তাতখানা বউবাজার এলাকা হতে ৮০ পিস ইয়াবা সহ আলমগীর ও আলী আহম্মেদকে আটক করলেও মাদক সম্রাট এমরান পালিয়ে যায়। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এমরান,আলমগীর ও আলী আহম্মেদকে আসামী করে মামলা করে। সেই মামলায় ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকার পিয়ার আলীর পুত্র মাদক সম্রাট এমরান কে আটকের সংবাদে ফতুল্লা – সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।

একটি সুত্র হতে জানা যায়,২০১৪ সালে এমরানকে ২৫ পিস ইয়াবা সহ এনায়েতনগর বউবাজার এলাকা হতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই কাজী সামসুল ইসলাম আটক করেন।

পরে এমরানকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা নং-৩১ দায়ের করা হয়।

এমরানের পিতা ও ভাই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

২০০১ সালে এমরান,তার পিতা পিয়ার আলী,ভাই স্বপনকে ২৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আব্দুল খালেক সরদার বাদী হয়ে মামলা নং- ৩০ তারিখ ২৯/৮/২০০১ ইং দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ১৫ মে এএসআই মন্জুরাহী ২৫ পিস ইয়াবা এমরান সহ এমরানের পিতা পিয়ার আলী ও সেলিমের পিতা বাচ্চুকে আটক করে।১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং -২৭।সব গুলো মামলা চলমান রয়েছে।

মাদক সম্রাট এমরান ও তার সহযোগীদের মাদক ব্যবসার কারনে এলাকার যুব সমাজ ধবংসের দারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে।এতে করে মাদকের টাকা যোগাড় করতে চুরি,ছিনতাইয়ের পথ বেছে নিচ্ছে মাদক সেবীরা।

মাদক সম্রাট এমরান তার দ্বিতীয় স্ত্রী লাকি আক্তারকে বন্দর রেখেছে।প্রথম স্ত্রী এনায়েতনগর থাকে। ফেন্সিডিল ও ইয়াবা বিক্রি করে লামাপাড়ায় ২ টি ও এনায়েতনগরে ১ টি বাড়ির মালিক বনে গেছে।

এমরান তার মাদক ব্যবসাকে সহজ করার জন্য ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা ব্যবহার করে এলাকায় ফেস্টুন লাগিয়ে দিয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদধারী এক নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে। ডকুমেন্ট এই প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

যুবলীগ নেতা পরিচয় দেয়ার কারন জানিয়েছে এলাকাবাসী।সুচতুর এমরান তার মাদক ব্যবসা সহজলভ্য করতেই ও পুলিশ হয়রানি হতে বাচঁতে এই কৌশল নিয়েছে মাদক সম্রাট এমরান।

জেলা পুলিশ যেখানে মাদক নির্মূলে কঠোর সেখানে এমরানের মাদক বিক্রিতে হতবাক সচেতন এলাকাবাসী। তারা অবিলম্বে মাদক সম্রাট এমরানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা পুলিশ ও র‌্যাবের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিল।