মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
ফতুল্লায় স্বামীর নির্যাতনে ঘর ছাড়া স্ত্রী ও সন্তানরা। গত রবিবার ২৪ ডিসেম্বর মোঃ হাসান নামের এক ব্যক্তি যৌতুকের টাকা আনতে স্ত্রীকে মারধর করে তার শ^শুর বাড়ি পাঠায়। এরপর থেকেই হাসান নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা (২৭), মেয়ে হাসিবা (৮) ও হাবিবা (৫) নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নিখোঁজ জাকিয়া সুলতানার মা নাজমা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আসামীরা হলেন- ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ গাউছিয়া মার্কেট এলাকার সেন্টু মিয়ার পুত্র মোঃ হাসান, জসিম ও স্ত্রী জরিনা বেগম।
অভিযোগের বরাত দিয়ে নাজমা জানান, আমি আমার মেয়ে জাকিয়া সুলতানা (২৭) কে বিগত ১০ বছর পূর্বে আনোয়ার হোসেনের সহিত ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করাই। সেথায় সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করিতে থাকার এক পর্যায়ে উল্লেখিত ১নং বিবাদী আমার মেয়ের সহিত প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতঃ আমার মেয়েকে ফুসলাইয়া তাহার স্বামীকে তালাক প্রদান করিয়া ১নং বিবাদীর সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে। অতঃপর বিবাদীর সহিত ঘর সংসার করিতে থাকাবস্থায় আমার মেয়ে আমার সহিত যোগাযোগ করিলে আমি মায়ায় পরিয়া আমার মেয়ের সহিত যোগাযোগ করি। এক পর্যায়ে আমি আমার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করিয়া ১নং বিবাদীকে নগদ ৫৫,০০০/- (পঞ্চান্ন হাজার) টাকা, সংসারের প্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র প্রদান করি। কিন্তু তাতেও ১নং বিবাদী সন্তুষ্ট না হইয়া আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় ও তারিখে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করিতে থাকে। এই ভাবে সংসার করিতে থাকার এক পর্যায়ে আমার মেয়ের গর্ভে ও বিবাদীর ঔরষে দুই মেয়ে হাসিবা (৮) ও হাবিবা (৫) জন্ম গ্রহণ করে। অতঃপর ১নং বিবাদী অনলাইন জুয়াতে আসক্ত হইয়া ঘরের আসবাবপত্র বিক্রয় করিতে থাকিলে আমার মেয়ে বিবাদীকে বাধা প্রদান করিলে বিবাদী আমার মেয়েকে এলোপাথারি মারপিট করিয়া আমার বাসায় পাঠাইয়া দেয় এবং আমার নিকট হইতে নগদ ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা নিয়া যাইতে বলে। এসময় আমার মেয়ে বিষয়টি আমাকে অবগত করিলে আমি বিবাদীকে যথাযথ ভাবে কাজ করিতে বলায় বিবাদী আমার সহিত অশোভনীয় আচরন করিতে থাকে। এরই প্রেক্ষিতে বিবাদী অকর্মঠ হইয়া পড়িলে ২নং বিবাদী আমার মেয়েকে তাহাদের সাথে যৌথভাবে থাকার জন্য বলে। এতে আমার মেয়ে সরল বিশ^াসে ২নং বিবাদীর সহিত যৌথভাবে সংসার করিতে থাকাবস্থায় ২নং বিবাদী আমার মেয়েকে মানসিক নির্যাতন শুরু করে। বিবাদীদের করা নির্যাতন সহ্য করিতে না পারিয়া আমার মেয়ে ১নং বিবাদীর নিকট তালাক দাবী করিলে বিবাদী আমার মেয়েকে তালাক প্রদান না করিয়া উল্টো এলোপাথারি মারপিট করতঃ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ইং ২৩/১২/২০২৩ তারিখে ১নং বিবাদী পুনরায় আমার মেয়ের নিকট টাকা দাবী করিয়া ঝগড়া বিবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে উল্লেখিত বিবাদীদ্বয় সহ তাহাদের পরিবারের অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সদস্য আমার মেয়েকে মারধর করিয়া আমার দুই নাতনীকে সহ জোর পূর্বক বাসা হইতে বাহির করিয়া দেয়, যাহা আমার জানা ছিল না। এরই প্রেক্ষিতে ইং ২৪/১২/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৫.৩০ ঘটিকার সময় ১নং বিবাদী আমার ফোনে ফোন করিয়া আমার মেয়েকে টাকা নেওয়ার জন্য আমার নিকট পাঠাইতেছে মর্মে জানাইলে আমি বিবাদীকে টাকা প্রদান করিতে অপারগতা প্রকাশ করি। এতে বিবাদী আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতঃ বিবাদীগন আমার মেয়ের সহিত যা করিয়াছে তাহা ঠিক করিয়াছে বলিয়া হুমকি প্রদান করে। এসময় আমি আমার সাথে কথা বলিতে চাহিলে বিবাদী ফোন কলটি কাটিয়া দেয়। এরই প্রেক্ষিতে আমি আমার মেয়ের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার ০১৮৬৭২৪৫৬৩৩, ০১৮৬৩৮৩৩৫৮০ ফোন করিলেও নাম্বার গুলি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে নিরুপায় হইয়া আমি বিবাদীদের উল্লেখিত ঠিকানার বাসায় যাইয়া আমার সন্ধান জানিতে চাহিলে বিবাদীগণ আমার সহিত অশোভনীয় আচরন করতঃ বাসা হইতে বাহির করিয়া দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ২৬/১২/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমার মেয়ের ভাসুর অর্থ্যাৎ ৩নং বিবাদী আমার উল্লেখিত ঠিকানার বাসায় আসিয়া আমার মেয়ের সন্ধান জানিতে চায়। এসময় আমি আমার মেয়ের সন্ধান না পাইয়া বিবাদীর নিকট প্রকৃত ঘটনা জানিতে চাহিলে বিবাদী বিষয়টি এড়াইয়া যাইয়া আমার নিকট টাকা পয়সা দাবী করে। এসময় আমি টাকা প্রদান করিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে অজ্ঞাতনামা বিবাদী আমাকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, আমি যদি আমার মেয়ের সন্ধান না দেই তাহা হইলে বিবাদীগণ যেকোন উপায়ে আমার প্রাণ নাশ করিবে অন্যথায় আমার ও আমার মেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দায়ের করিয়া হয়রানি করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করিয়া আমার বাসা হইতে চলিয়া যায়।
Dhaka, Bangladesh মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫ ২৫ সফর, ১৪৪৭ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৪:১৬ |
সূর্যোদয় | ভোর ৫:৩৬ |
যোহর | দুপুর ১২:০২ |
আছর | বিকাল ৩:২৯ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:২৮ |
এশা | রাত ৭:৪৭ |
আপনার মতামত কমেন্টস করুন