নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী সেলিম আহমেদের প্রচারণায় হামলার ঘটনায় প্রার্থী নিজেসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।

হামলার শিকার সেলিম আহমেদ লিবারেল ইসলামিক জোটের শরিক বাংলাদেশ জনদলের (বিজেডি) মহাসচিব৷ তিনি জোটের শরিক দল সুপ্রিম পার্টির দলীয় প্রতীক ‘একতারা’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ লড়ছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনবারের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

একতারার প্রার্থী সেলিম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় প্রার্থী তার দলীয় নেতাকর্মীকে নিয়ে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণের সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিনিসহ তার আরও পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

‘স্থানীয় আবজাল মিয়া ও তার ছেলে ইমরানসহ অন্তত ২০-২৫ জনের একটি দল হামলায় অংশ নেয়৷ তারা প্রথমে আমাদের লিফলেট বিতরণে বাধা দেয়৷ পরে প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের নেতা-কর্মীকে মারধর করে, আমি বাধা দিলে আমাকেও মারধর করে।’

সেলিম বলেন, ‘হামলাকারী ইমরানসহ অন্যরা স্থানীয় যুবলীগের কর্মী বলে পরিচিত বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। আমি পুলিশকে জানিয়েছি, এ হামলার বিচার দাবি করি।’

যদিও যোগাযোগ করা হলে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফায়জুল ইসলাম বলেন, তিনি এমন কোন হামলার খবর পাননি। এ ঘটনায় কারা জড়িত আছেন সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত না।

যোগাযোগ করা হলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা কোন দলের কর্মী কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই। তবে যে দলেরই হোক না কেন হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

উল্লেখ্য, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগসহ আটজন প্রার্থী রয়েছেন। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেষদিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন৷ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আসনটিতে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের পথ অনেকটা সহজ।