নারায়ণগঞ্জের আলো ২৪.কম : ফতুল্লার পাগলায় প্রিন্টিং কারখানা থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক বান্ধবীকে আটকে রেখে অপর বান্ধবীকে গণধর্ষন করেছে ৬ ধর্ষক। বুধবার (১৯আগস্ট) দিবাগর রাত দেড়টায় ফতুল্লা থানার পাগলা খেয়াঘাট এলাকায় এ গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫জনকে থেকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সোনারগায়ের মুসার চর ভূইয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে রবিন (২১), ফতুল্লার আলীগঞ্জের শিবলু কাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া নুরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন(২১), আলীগঞ্জের জোড়া ৫তলার পাশে মহিবুল্লাহর ছেলে হিমেল (২০), আলীগঞ্জের রেললাইন এলাকার মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে মোস্তাক (২২), একই এলাকার পলাশ নেতার তেলের পাম্পের পাশে আকবর বেপারীর বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুল আউয়াল হাওলাদারের ছেলে মাসুম (২০)। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরীর বরাত দিয়ে বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর ওপার ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার পানগাও এলাকার ১৮ বছরের এক তরুনী ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীর ২ নং গলির এসএস আর প্রিন্টিং ফ্যাক্টরূতে চাকরী করে। প্রতিদিন বিকেল ৫ টায় আবার কোন সময় রাত ৮ টায় গার্মেন্ট ছুটি হওয়ার পর সহকর্মীদের সাথে নদী পাড় হয়ে বাসায় চলে যায়। ওসি বলেন, বুধবার কাজের চাপ থাকায় ওভারটাইম করে ওই তরুনী। এরপর রাত ১২ টায় ছুটি হলে একই কারখানায় চাকরী করে আরেক বান্ধবীকে সাথে নিয়ে বাসায় ফেরার জন্য পঞ্চবটী থেকে অটোরিক্সায় করে পাগলা খেয়াঘাটে আসে।অটোরিক্সা চালক মেহেদী তাদের পূর্বপরিচিত ছিলো বলে জানা যায়।পঞ্চবটী থেকে আসার সময় অটোরিক্সার চালক মেহেদীর বন্ধু মাসুম একই অটোরিক্সায় করে পাগলাতে আসে। বুড়িগঙ্গা নদী পাড় হতে নৌকার অপেক্ষা করার সময় মাসুম মোবাইল ফোন করে সহোযোগিদের ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর তারা দুই বান্ধুবীকে আটক করে। এদের মধ্যে একজনকে আটক রেখে অপরজনকে গণধর্ষন করা হয়। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের ঘটনার এক ঘন্টা পর তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাত হতে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক আরেকজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।