ফতুল্লা পোস্ট অফিস এলাকার সড়ক পথের ছিনতাইকারী সরদার ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শাহাদাত আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চাদাঁর দাবীতে কুয়াকাটাগামী রুমী পরিবহন, অন্তরা পরিবহন, যাতায়াত পরিবহনের কাউন্টার সার্ভিসম্যান আলমগীরকে গত দুই দিন পূর্বে মারধর করেছে বলে জানা যায়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ (পাগলা সড়ক) সড়কে রাতে আধারে চলে ছিনতাই ও চলন্ত মালবাহী পরিবহনের ডাকাতির ঘটনা। আর এসব অপকর্মের মূল শেল্টারদাতা হিসেবে কাজ করছে শাহাদাত। ইতোমধ্যে সরকারী চোরাইমালসহ গ্রেফতার হয়ে বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে।

ছিনতাই কিংবা মাদক ব্যবসা করেই শাহাদাত ও তার বাহিনী ক্ষ্যান্ত থাকেনি। এলাকায় চাঁদাবাজী, ব্যবসায়ীদের উপর হামলা ও হুমকীর অভিযোগ। আর এসব ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সম্প্রতি চাঁদা না দেয়ায় স্থানীয় এক পরিবহন শ্রমিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাহাদাতের বিরুদ্ধে। এই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নিতে র‌্যাব সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শাহাদাত দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। এছাড়া রাতের আধারে ছিনতাই এবং চলন্ত মালবাহী পরিবহনের মালামাল চুরির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। এছাড়া চাঁদার দাবীতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের উপর হামলা ও হুমকী দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দাপা এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের অস্ত্র চুরি মামলার আসামী আজমীরির সাথে সখ্যতা রেখে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড করে আসছে। শাহাদাতের নেতৃত্বে পোষ্ট অফিস প্রধান সড়কে এবং বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত ওয়াকওয়েতে একদল ছিনতাইকরী সক্রিয় রয়েছে। এছাড়া মাদক ব্যবসার জন্য পৃথক একটি বাহিনী সক্রিয় আছে।

সূ্ত্র জানায়, শিবু মার্কেট এলাকার অন্তর, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ক্যামিস্ট মিজান ও জালকুড়ির দুলালের সাথে সিন্ডিকেট করে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন এলাকায় ফেনসিডিল ব্যবসায় সক্রিয় রয়েছে শাহাদাত।

উল্লেখ্য, শাহাদাত ইতোমধ্যে সরকারী বৈদ্যুতিক মিটার, চোরাই চালসহ পুলিশের হাতে একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করেন। সর্বশেষ পুলিশের কাছে মুচলেকা দিয়ে থানা হাজত থেকে মুক্ত হয়ে আসেন। কিন্তু তারপরও ছিনতাইকারী সরদার শাহাদাতের অপকর্ম বন্ধ হচ্ছে না।