বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর চরবয়রাগাদী এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ,ছিনতাইকারী,মাদক ব্যবসায়ী কবির হোসেন বাহিনীর ছুরিকাঘাতে আহত মজিবুর খন্দকার মৃত্যুবরন করেছেন।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় ঢাকার ধানমন্ডি জেনারেল ও কিডনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মজিবুর খন্দকারের মৃত্যুর সংবাদে চরবয়রাগাদী গ্রাম সহ বক্তাবলী জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খুনিদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। একটি সুত্র হতে জানা যায়, গত (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ব্যবসায়ী সবুজ তার নির্মানাধীন বাড়ির সরঞ্জাম কেনার জন্য শ্বশুর বাড়ি ছমিরনগর হতে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে চরবয়রাগাদী ব্রীজে হোন্ডা যোগে আসার সাথে সাথে চরবয়রাগাদী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ,ছিনতাইকারী,মাদক ব্যবসায়ী,কবির হোসেন তার সহযোগী নাসিরউদ্দিন,জাকির হোসেন,দেলোয়ার হোসেন, আফজাল হোসেন সহ নিন্মে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে লোহার পাইপ, ছুরি,চাকু, রড নিয়ে অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।কবির বাহিনীর হামলায় সবুজ সহ ৪ জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চরবয়রাগাদী গ্রামের মজিবর খন্দকারের পুত্র মোঃ সবুজ বৃহস্পতিবার(১৭ ডিসেম্বর)বাদী হয়ে কবির হোসেন সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
মোঃ সবুজ তাতে উল্লেখ করেন,গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ টার সময় নারায়নগঞ্জ হতে হোন্ডা যোগে চরবয়রাগাদী ব্রীজের ঢালে আসা মাত্র সন্ত্রাসী মৃত আলী আকবর ফকিরের পুত্র মোঃ আবুল হোসেন, মৃত খেজমত আলীর পুত্র মোঃ নাসিরউদ্দিন,নাসিরউদ্দিনের পুত্র মোঃ কবির হোসেন, মৃত খেজমত আলীর পুত্র মোঃ জাকির, ও আমানউল্লাহ, জাকির হোসেনের পুত্র মোকশেদুল ও ফয়সাল,খেজমত আলীর পুত্র মোঃ দেলোয়ার, মজিবরের পুত্র মোঃ মহসিন, আব্দুল করিমের পুত্র মোঃ আলী,আলমেছের পুত্র আফজল গংরা আমার হোন্ডার পথরোধ করে মারধর, হোন্ডা ভাংচুর ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে আমার পিতা মজিবর খন্দকার ,মামাতো ভাই স্বপন,মামী আমিরন নেছা আমাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে এলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
বাদীর পকেটে থাকা নগদ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এলাকার লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার নিয়ে যায়। তাদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদীর পিতা,মামাতো ভাই ও মামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রেরন করেন।
যাবার বেলা উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আইনী ব্যবস্থা নেয়া সহ বাড়াবাড়ি করলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
এলাকাবাসী জানান,কবির হোসেন এলাকায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী,চাদাঁবাজ ও ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত। কবিরের সাথে সবসময় ধারালো ছুরি থাকে।এটি নিয়ে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। কবির হোসেন বাহিনীর হামলায় গুরুতর জখম সবুজ, মজিবর খন্দকার ও স্বপনের অবস্থা গুরুতর। তারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।মজিবর ও স্বপন ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মামলার বাদী সবুজ জানান,আমি বাড়ি নির্মাণ করছি।শ্বশুর বাড়ি হতে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়িতে আসার পথে কবির ও তার বাবা মাদক বিক্রেতা নাসিরউদ্দিন সহ উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে টাকা নিয়ে যায়।পুলিশ একজন আসামীকে আটক করলেও মূল আসামী কবির হোসেন কে আটক না করায় মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করছে।
এ ব্যাপারে সকল আসামীদের গ্রেফতারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বুধবার সকালে ৭দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মজিবুর খন্দকারের মৃত্যুর সংবাদ চরবয়রাগাদী গ্রামে পৌছলে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।ঘটনার ৮ দিন অতিবাহিত হতে চললেও পুলিশ খুনি কবির হোসেন সহ এজাহার ভূক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
Dhaka, Bangladesh বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ৫ রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৭ | |
ওয়াক্ত | সময় |
সুবহে সাদিক | ভোর ৪:২১ |
সূর্যোদয় | ভোর ৫:৩৯ |
যোহর | দুপুর ১২:০০ |
আছর | বিকাল ৩:২৭ |
মাগরিব | সন্ধ্যা ৬:২০ |
এশা | রাত ৭:৩৮ |
আপনার মতামত কমেন্টস করুন