ফতুল্লা লঞ্চ ঘাট থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশে সুন্দরবন লঞ্চে উঠতে গিয়ে লঞ্চের রশিতে পেচিয়ে ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রব্বান হাওলাদার (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার। এসময় চালক দ্রুত লঞ্চ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে রব্বান হাওলাদারকে দ্রুত জাতীয় অর্থোপেডিক ও পূর্নবাসন প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফতুল্লা লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে।৫দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসা শেষে শনিবার বাড়ি ফিরেছেন রব্বান হাওলাদার।
রব্বান হাওলাদার যুগান্তরের সিনিয়র সাবএডিটর সাংবাদিক সালাউদ্দিন মোল্লার ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার বাড়ির ভাড়াটিয়া ফারুক মিয়ার বাবা। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, সুন্দরবন-৯ লঞ্চে পটুয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশে বৃদ্ধা রব্বান হাওলাদার ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফতুল্লা লঞ্চ ঘাটে আসে। এসময় পল্টুনের সঙ্গে লঞ্চের রশি বাধা ছিল। রব্বান হাওলাদার যখন লঞ্চে উঠবে তখন লঞ্চটি ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পল্টুন থেকে লঞ্চের লোকজন রশি না উঠিয়ে লঞ্চটি ছেড়ে দেয়। তখন ওই রশি বৃদ্ধা রব্বান হাওলাদারের ডান পায়ে পেচিয়ে যায়। এক পর্যায়ে রব্বান হাওলাদারের পা বিচ্ছিন্ন করে রশি লঞ্চের সঙ্গে চলে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন লঞ্চটিকে আটক করতে না পারলেও বৃদ্ধা রব্বান হাওলাদারকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ওসি আরো জানান, এঘটনায় বৃদ্ধার ছোট ভাই রুস্তম আলী থানায় অভিযোগ দিয়েছে। লঞ্চ ও তার চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রব্বান হাওলাদারের ছেলে ফারুক জানান, চালকের কারনে আমার বাবা বৃদ্ধ বয়সে পা হারিয়েছে। প্রচুর রক্ত গিয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে কোন মতে বেচে আছে আমার বাবা। বেপরোয়া লঞ্চ চালকের বিচার চাই।
আপনার মতামত কমেন্টস করুন