নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশাল মঞ্চ তৈরী, শ্রোতাদের সরব উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ন মাহফিলের প্যান্ডেল। বয়ান করতে মাহফিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন বক্তা। এরপরই বাধে বিপত্তি ! কেননা মাহফিলে আসার পথেই সহযোগিসহ নিখোঁজ হয়ে যান বক্তা! শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় ক্যানেলপাড় এলাকায় ঘটল এমনই এক ঘটনা।

ওই বক্তার নাম মাওলানা মামুনুর রশীদ (৫০)। তিনি ফতুল্লার ভূইগড় এলাকার জামি’আ দাওয়াতুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল এবং একটি মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। ওয়াজের ময়দানে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। মাহফিলটিতে বিশেষ বক্তার দাওয়াত গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

এদিকে, বক্তার সাথে মাহফিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নামে আরো এক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ মোস্তাফিজ ভূইগড় রূপায়ন টাউন এলাকার মোঃ আলী হোসেন এর ছেলে। সে ইলেক্ট্রনিক্স এর ব্যবসায়ী। মাওলানা মামুনুর রশিদ এর সাথে সু-সম্পর্কের ফলে মাহফিলটিতে বক্তার সফর সঙ্গী হিসেবে রওয়ানা হয়েছিলেন মোস্তাফিজ।

নিখোঁজের বিষয়ে শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত ভাবে অবগত করেন জামি’আ দাওয়াতুল কুরআন মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ মোস্তফা কামাল। তবে, লিখিত ভাবে জি.ডির আবেদন করলেও শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা ডাইরীতে নথিভুক্ত করেনি পুলিশ।

জিডির আবেদন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাতে ভূইগড় ক্যানেলপাড় এলাকায় ‘সৃজনী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই মাহফিলে বিশেষ বক্তা হিসেবে দাওয়াত গ্রহণ করেন ভূইগড় জামি’আ দাওয়াতুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা মামুনুর রশিদ। রাত সাড়ে ৭টার দিকে সহযোগি মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে মাদ্রাসা থেকে মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। কিন্তু এরপর থেকে উভয়ের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি। নিখোঁজ দুইজনের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল থানায় জি.ডি করার জন্য লিখিত ভাবে আবেদন করেছেন। বিষয়টি আমরা আগে তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’